Duration 16:48

কারবালায় শহীদ হওয়া হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর জীবনী | Biography Of Imam Hossain In Bangla

61 watched
0
1
Published 22 Jul 2023

হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) ছিলেন হযরত ইমাম আলী (আ.) ও হযরত ফাতিমা (আ.)-এর দ্বিতীয় সন্তান। তিনি চতুর্থ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। বড় ভাই হযরত ইমাম হাসানের শাহাদতের পর তিনি মহান আল্লাহর নির্দেশে এবং ইমাম হাসান (আ.)-এর ওসিয়ত ক্রমে ৩য় ইমাম হিসেবে মনোনীত হন।[1] হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর ইমামতকাল ছিল দশ বছর। তাঁর ইমামতের শেষ ৬মাস ছাড়া বাকী সমগ্র ইমামতকালই মুয়াবিয়ার খেলাফতের যুগেই কেটেছিল। তাঁর ইমামতের পুরো সময়টাতেই তিনি অত্যন্ত কঠিন দূর্যোগপূর্ণ ও শ্বাসরূদ্ধকর পরিবেশে জীবন যাপন করেন। কারণ, ঐযুগে ইসলামী আইন-কানুন মর্যাদাহীন হয়ে পড়েছিল। তখন খলিফার ব্যক্তিগত ইচ্ছাই আল্লাহ্‌ ও তার রাসুল (সা.)-এর ইচ্ছার স্থলাভিষিক্ত হয়ে পড়ে। মুয়াবিয়া ও তার সঙ্গীসাথীরা পবিত্র আহলে বাইতগণ (আ.) ও শীয়াদের ধ্বংস করা এবং ইমাম আলী (আ.) ও তাঁর বংশের নাম নিশ্চিহ্ন করার জন্যে এমন কোন প্রকার কর্মসূচী নেই যা অবলম্বন করেনি। শুধু তাই নয় মুয়াবিয়া স্বীয় পুত্র ইয়াযিদকে তার পরবর্তী খলিফা হিসেবে মনোনীত করার মাধ্যমে স্বীয় ক্ষমতার ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। কিন্তু ইয়াযিদের চরিত্রহীনতার কারণে একদল লোক তার প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ছিল। তাই মুয়াবিয়া এ ধরণের বিরোধীতা রোধের জন্যে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইচ্ছাকৃতভাবে হোক আর অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হোক, হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-কে এক অন্ধকারাচ্ছান্ন দূর্দিন কাটাতে হয়েছে। মুয়াবিয়া ও তার অনুচরদের পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার মানসিক অত্যাচার তাঁকে নিরবে সহ্য করতে হয়েছিল। অবশেষে হিজরী ৬০ সনের মাঝামাঝি সময়ে মুয়াবিয়া মৃত্যুবরণ করে। তার মৃত্যুর পর তদীয় পুত্র ইয়াযিদ তার স্থলাভিষিক্ত হয়।[1] সে যুগে বাইয়াত (আনুগত্য প্রকাশের শপথ গ্রহণ) ব্যবস্থা আরবদের মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রথা হিসেবে প্রচলিত ছিল। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয়কার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্তির মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে বাইয়াত গ্রহণ করা হত। বিশেষ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের পক্ষ থেকে রাজা বাদশা বা খলিফার প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশের জন্যে অবশ্যই বাইয়াত গ্রহণ করা হত। বাইয়াত প্রদানের পর তার বিরোধীতা করা বিরোধী ব্যক্তির জাতির জন্যে অত্যন্ত লজ্জাকর ও কলঙ্কের বিষয় হিসেবে গণ্য করা হত। এমনকি মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শে ও স্বাধীন ও ঐচ্ছিকভাবে প্রদত্ত বাইয়াতের নির্ভরযোগ্যতার অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল। মুয়াবিয়াও তার জাতীয় প্রথা অনুযায়ী তার পরবর্তী খলিফা হিসেবে জনগণের কাছ থেকে স্বীয়পুত্র ইয়াযিদের জন্যে বাইয়াত সংগ্রহ করে। কিন্তু মুয়াবিয়া এ ব্যাপারে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বাইয়াত গ্রহণের ব্যাপারে তাঁকে কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ করেনি। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পূর্বে সে ইয়াযিদকে বিশেষভাবে ওসিয়াত করে গিয়েছিল[2] যে, ইমাম হুসাইন (আ.) যদি তার (ইয়াযিদ) আনুগত্য স্বীকার (বাইয়াত) না করে, তাহলে সে (ইয়াযিদ) যেন এ নিয়ে আর বেশী বাড়াবাড়ি না করে। বরং নীরব থেকে এ ব্যাপারটা যেন সে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে। কারণঃ মুয়াবিয়া এ ব্যাপারে অদ্যোপান্ত চিন্তা করে এর দুঃসহ পরিণাম সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পেরেছিল। যদি আর একটিও ভিডিও মিস না করতে চান, তবে এক্ষুণি আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নিন। ধন্যবাদ #Masud_Records #কারবালা #Karbala #imam_hussain

Category

Show more

Comments - 2